শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহী নগরীর ফুটপাত এখন দুর্ঘটনার মরন ফাঁদ

রাজশাহী নগরীর ফুটপাত এখন দুর্ঘটনার মরন ফাঁদ

রাজশাহী নগরীর ফুটপাত এখন দুর্ঘটনার মরন ফাঁদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পথচারীদের পা ঢুকে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। আবার কোথাও কোথাও ফুটপাতে বসেছে বাজার। ফলে পথচারীদের কাজে আসছে না ফুটপাত।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন রাজশাহী নগরী ঘুরে দেখা গেছে, এমন ঘটনা নগর ভবনের সামনেই, কোথাও কোথাও এখনো ফুটপাতের কাজ শেষ করা হলেও নিচ দিয়ে যাওয়া ড্রেনের মুখ খোলা রাখা হয়েছে। অব্যবস্থাপনার কারণে কোথাও কোথাও বসানো টিনের স্লাব ভেঙে গেছে। আবার কোথাও লোহার স্লাব চুরি হয়ে গেছে।

আর তাতেই পায়ে হেঁটে যাওয়া পথচারীরা পড়ছেন মারাত্মক দুর্ঘটনায়। খেয়াল না করে হাঁটার কারণে কখনো কখনো কেউ একেবারে ড্রেনের ভিতরে গিয়ে পড়ছে।

নগরীর রেলগেট এলাকার ব্যবসায়ী বিশাল বলেন, ‘কয়দিন পর পর দেখি ফুটপাতের কাজ করছে। আবার কয়দিন পর পর দেখি ড্রেনের মুখের স্লাব বসাচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ স্লাবই ৬ মাসও থাকে না। বসানোর দুই-একদিনের মধ্যেই ভাঙতে শুরু করে। কি ফুটপাত নির্মাণ করে, আর কি স্লাব বসায় কে জানে?’ তবে এগুলো দেখার কেউ নাই। ভালোভাবে তদারিক করলে এমন দশা হওয়ার কথা নয় ।

কাদিরগঞ্জ এলাকার পথচারী আকবর হোসেন বলেন, অনেক স্থানেই ফুটপাতের স্লাব নাই। কোথাও থাকলেও ভাঙা। এতে করে পথচারীরা প্রতি-নিয়তই পড়ছেন দুর্ঘটনায়। সিটি করপোরেশনের অবহেলা বা অব্যস্থাপনার কারণে যারা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দিবে কে?’

এদিকে রাসিকের ফুটপাত সংস্কার ও নির্মাণ নিয়েও রয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে নানা প্রশ্ন। এ কাজেও ঠিকমত তদারিক না থাকায় বার বারর ফুটপাত নির্মাণ বা সংস্কার করতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন নগরবাসী।

মহানগরীর সাহেব বাজার শিরোইল এলাকার বাসিন্দা মোঃ হুমায়ন আহম্মেদ বলেন, ‘মাঝে মাঝেই দেখা যায় ফুটপাতের কাজ করতে। আবার কয়দিন পরেই ভেঙে চুরমার। ফুটপাত করা হয়েছে পথচারীদের হাঁটার জন্য, কিন্তু সেখানে বসানো হেেয়ছে বাজার। ফলে ফুটপাত থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটি সাধারণ মানুষের কাজে আসছে না। কিন্তু এটি নির্মাণ ও সংস্কারের নামে ঠিকই কোটি কোটি টাকা জলে ঢালা হচ্ছে।

এসব নিয়ে জানতে চাইলে রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী খাইরুল বাসার জানান, মাঝে মাঝেই ফুটপাতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। জরিমানা করা হয়। কিন্তু তার পরেও কোথাও কোথাও দোকানপাট বসছেই। আবার ফুটপাতের স্লাবগুলো যেখানে ভাঙা আছে, সেগুলো সংস্কার করা হচ্ছে। যেখানে নাই, সেখানে নতুন করে বসানো হচ্ছে। এগুলো চলমান প্রক্রিয়া বলেও জানান তিনি।

মতিহার বার্তা ডট কম- ২৫-০৮-২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply